আমি আর মিথিলা রাতের খাবার সেরে দুজনে গল্প করতেছি শীতে রাত হালকা ঠান্ডা লাগতেছে। হঠাৎ করে মোবাইলে রিংটোন টা বেজে উঠলো রিসিভ করতেই মামার কন্ঠ শুনতে পেলাম। মামা বললেন সুমন শোনো তোমার ছোট বোনকে দেখার জন্য। কয়েকজন লোক আসবে। তুমি তোমার আম্মা চলে আসবে সকাল বেলায়। সাথে আমার বৌমাকে নিয়ে এসো মামা ফোনটা কেটে দিলো আমি মাকে সবকিছু বুঝিয় বললাম ।মা বললেন ঠিক আছে। আমরা সবাই চলে যাব সকালবেলা। তোমার মামার বাড়িতে ভোরবেলাতে মিথিলা আমাকে ডেকে দিল। আমি ফজরের নামাজ পড়ে আসলাম। মাকে নিয়ে রওনা দিলাম মামারবাড়ি দিকে এই শীতের সকালে গরিব মানুষের অবস্থা দেখে মিথিলা কষ্ট পেলাম শীতে যেমন আনন্দ নিয়ে আসে ।তেমনি নিয়ে আসে কষ্ট বিশেষ করে দরিদ্র লোকের জন্য শীত যেন অভিশাপ ।গরীব মানুষের শীতের কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই। তাই শীতের সকালে তাদের দুঃখ কষ্টের সীমা থাকে না ।শীতের সকালে মিষ্টি রোদে সৌন্দর্য আর পিঠাপুলির স্বাদ থেকে তারা বঞ্চিত শীতের সকাল তাদের কাছে সৌন্দর্যের উৎস নয় তারা শীতের বিদায়ের অপেক্ষায় থাকে। একটু উষ্ণতার জন্য তারা অপেক্ষা করে ।এই শ্রেণীর মানুষদের দেখে মিথিলার তাই এত কষ্ট দুজনে গল্প করতে করতে এক পর্যায়ে আমরা মামার বাড়ি চলে আসি। শীতের আসল সৌন্দর্য গ্রামেই ।গ্রামীণ প্রকৃতিতেই শীতের প্রকৃত রূপ ধরা পড়ে কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে গ্রামের ভোর। এই ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের মধ্যেই কৃষককে বের হতে হয় মাঠের উদ্দেশ্যে কেউ কেউ এ সময় ইরি ধান আবাদ করে কেউ কেউ চাষ করে রবি শস্য। গ্রামের মানুষগুলো আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহায়। অনেক কৃষক খেজুর গাছ থেকে খেজুর রসের হাঁড়ি নামায় । বাড়িতে কৃষকের বউ সেগুলো জাল দেয় খেজুর রসের মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
মামি খাবার রেডি করে আমাদেরকে ডাকতে ছিল। গ্রামে শীতের সকালে নানা ধরনের খাবার তৈরি হয়। গ্রামের ঘরে ঘরে পিঠা পায়েস তৈরি করা হয়। মামীও তাদের মতো ভোরবেলাতে উঠে। চাউল ঢেঁকিতে গুড়া করে মামি রান্না ঘরে বসেই পিঠা পায়েস তৈরি করে ।তেলের পিঠা ভাপা পিঠা রসের পিঠা পাটিসাপটা নানান ধরনের পিঠার মিষ্টি গন্ধে বাতাস ছড়িয়ে পড়ছিল। শীতের সকালে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মিষ্টি রোদে বসে আনন্দে পিঠা খেলাম এ যেন অন্যরকম অনুভূতি। অন্য সকাল থেকে শীতের সকালের একটু পৃথক শীতের সকাল আসে কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে । ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা পাওয়া যায়না। যতদূর চোখ যায় কেবল কুয়াশা ঘেরা অন্ধকার প্রকৃতি সবার গায়ে শীতের পোশাক জড়ানো থাকে । সূর্যের উত্তাপের আশায় ঘর ছেড়ে বাইরে আসে। এদিকে মামা চলে আসে। মামা বলল সামনে গিয়ে দেখো আত্মীয়-স্বজন আসতেছে কীনা ।আমি ব্লেজার গায়ে জড়িয়ে সামনে এগিয়ে গেলাম।
সামনে এগিয়ে যেতেই এই প্রকৃতির রূপ আমার চোখের সামনে ধরা পড়ে ।উত্তর দিক থেকে হিম শীতল বাতাস বইতে থাকে। যেন এ দীর্ঘশ্বাসের মত গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে শিরশির করে এ বাতাস বয়ে যায়। এই বাতাসের পাতাগুলো কেঁপে কেঁপে ওঠে পাতা থেকে জড়িয়ে পড়ে শিশির।ধীরে-ধীরে সূর্য উঠে শিশিরের বিদায় নেয় ।আবার অনেক সময় এতো কুয়াশা পড়ে যে সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায় না কুয়াশার কারণে পাখিরা নীড় ছেড়ে বের হয়না।কোলাহলে মেতে ওঠে না।শীতে প্রচুর শাকসবজি উৎপন্ন হয়। মাঠে মাঠে সেই সবুজ শাকসবজি শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে। শীতকালে নদী-নালা খাল-বিল পুকুর-ডোবা সব শুকিয়ে যায়। কৃষকেরা সকাল হতেই গরু আর লাঙ্গল নিয়ে বের হয়ে যায়। তারা খেতে মসুর ছোলা সরিষা বীজ বুনে। কয়েকদিন পর যখন সেগুলো কচিপাতা মাথা উঁচু করে। চারো দিকে বিরাজ করে এক অপরূপ কোমলতা।
সামনে তাকিয়ে দেখি আত্মীয়-স্বজন সবাই চলে এসেছে ।সবাইকে রাস্তা দেখি মামা বাড়ি নিয়ে আসলাম। আত্মীয় স্বজনকে হাত পাওয়ার দোয়া জন্য পানি দেওয়া হল।
পাশের ঘরে নিয়ে বসতে দেওয়া হল এবং তাদের খাওয়া-দাওয়া করেন হল ।আমাদের মেয়েকে তারা সবাই দেখলো।
মেয়ে দেখে তাদের পছন্দ হলো। বিয়ের দিন ঠিক করা হলো।
আত্মীয়-স্বজন সবাই চলে গেল। মা বললেন তাহলে আমরাও এবার আসি বাড়িতে অনেক কাজ পড়ে আছে। মামা বললেন আপা আজকে রাত থেকে গেলে পারতা । মা বললেন না আজ না অন্য একদিন এসে থাকব আজ যেতে হবে ।সবার কাছে বলে আমরা সবাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রাস্তায় যেতে যেতে খেজুর রসের তরল গুড় বিক্রি করতে দেখা গেল।মা বললেন কেজি দুয়েক তরল গুড় নিয়ে আসো খেজুর রসের।
তেলের পিঠা তৈরি করব।
লেখক প্রোফাইল:

- আমি শৈশব থেকে বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের টাংগাইল জেলার কালিহাতী থানার ঘুনিপাড়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে বেড়ে উঠি। পিতার নামঃ- মোঃ ফ্জলুল হক। মাতাঃ- মোসাঃ মনোয়ারা বেগম। Mail:-bulbulshake36@gmail.com
এই লেখকের নতুন লেখা:
ছড়া-কবিতা2021.01.26খোকা
ছড়া-কবিতা2021.01.24বাঁচার অধিকার
ছড়া-কবিতা2021.01.21সূর্য মামা
জীবনমুখী কবিতা2021.01.20উলু বনে পদ্ম
I think the admin of this web site is really working hard in support of his website, because here every data is quality based material.|
Terrific work! That is the type of information that should be shared around the net. Shame on the search engines for not positioning this publish upper! Come on over and discuss with my web site . Thanks =)|
I visited multiple web sites but the audio feature for audio songs present at this web page is in fact fabulous.|
I do not know whether it’s just me or if perhaps everybody else experiencing issues with your site. It appears like some of the text on your content are running off the screen. Can someone else please provide feedback and let me know if this is happening to them too? This may be a issue with my browser because I’ve had this happen previously. Cheers|
You actually make it seem so easy with your presentation but I find this matter to be really something that I think I would never understand. It seems too complex and very broad for me. I’m looking forward for your next post, I’ll try to get the hang of it!|
I enjoy looking through an article that can make men and women think. Also, many thanks for allowing for me to comment!|